ভান্ডারিয়া প্রতিনিধি ॥ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের জন্য ২০১৪ সালে এক যুবককে হত্যার দায়ে ৪ যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে পিরোজপুরের একটি আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দায়রা জজ মুহাঃ মহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন। তিনি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন। এছাড়া হত্যাকান্ডের পর ছিনতাইকৃত মোটর সাইকেল লুকিয়ে রাখার অপরাধে অন্য দুই আসামীকে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন বিচারক।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার হোগলপাতি গ্রামের আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে সোহেল রানা (২৬), বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের ফজলুল হক ঘরামীর ছেলে মিলন ঘরামী (২৬), একই উপজেলার ঘুটাবাছা গ্রামের মজিবর রহমান হাওলাদারের ছেলে আল আমীন হাওলাদার (২৮) এবং আব্দুল মালেক মল্লিকের ছেলে মাসুম বিল্লাহ (৩৮)। এছাড়া ৫ বছর সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ঘুটাবাছা গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার হাওলাদারের ছেলে হিরু হাওলাদার (৩৯) এবং একই উপজেলার ছোট পাথরঘাটা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে লিটন চৌকিদার (৩০)।
ঘটনার পর থেকেই যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সোহেল রানা বাদে অন্য তিন আসামী পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারকৃত ৩ আসামীর উপস্থিতিতে বিচারক মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সুকৌশলে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ২০১৪ সালের ৯ মার্চ রাতে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে সাকিল সিকদারকে মোটর সাইকেলের তার দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার বন্ধু সোহেল, মিলন, আল আমীন ও মাসুম। এরপর তার মৃতদেহটি উপজেলার শিংখালী গ্রামে ধানক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে হত্যাকারীরা সোহেলের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি নিয়ে বরগুনার পাথরঘাটায় চলে যায়। এ ঘটনায় পরের দিন পুলিশ ধানক্ষেত থেকে সাকিলের মৃতদেহ উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ওই দিনই মৃতের মা আলো বেগম বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে দায়েরকৃত মামলার আসামীরা কেউই উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিল না। পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িত মূল হত্যাকারীদের শনাক্ত করে মামলার চার্জশিট দেয়।
Leave a Reply